ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। এখানে সাধারণত কোন উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা অথবা সার্ভিস দিয়ে থাকেন এবং ক্রেতার কাছ থেকে এই পণ্য অথবা সার্ভিসের বিনিময়ে অর্থ পান। কিন্তু ই-কমার্সের সাথে আমরা অনেকেই আছি যারা তেমন পরিচিত নই। ই-কমার্স এর পূর্ণরূপ হল ইলেক্ট্রিক কমার্স। কমার্স এর বেশিরভাগ কাজই অনলাইনে হয় এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে হয়ে থাকে তাই এই ধরনের বাণিজ্যের নাম কি কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স।
যে কোন সাধারণ ব্যবসা-বাণিজ্যের তুলনায় ই-কমার্সের সুবিধা অনেক বেশি।
ই-কমার্স এর সুবিধাঃ
- সাধারণ ব্যবসা-বাণিজ্যে যেরকম অনেক কর্মচারী লাগে ই-কমার্সের সেই তুলনায় কর্মচারীর সংখ্যা অনেক কম প্রয়োজন।
- সাধারণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করলে একসাথে একাধিক ধরনের ব্যবসা করা যায় না কিন্তু ই-কমার্স এর মাধ্যমে আপনি একসাথে একাধিক ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন।
- সাধারণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করলে হিসাব নিকাশে অনেক ভুল থাকার সম্ভাবনা আছে কিন্তু এ কমার্স এর ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার ফলে হিসেবে হিসাব-নিকাশে কোন ভুল হয় না।
- ই-কমার্স এর ফলে প্রতারণা করার সম্ভাবনা খুবই কম।
- ই-কমার্স হলো ব্যবসা-বাণিজ্য করার একটি স্মার্ট রূপ। তাই ই-কমার্স এর মাধ্যমে ঘরে বসে যেকোনো পণ্য অর্ডার দিতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনি তা পেয়ে যাবেন
- সাধারণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করলে প্রাতিষ্ঠানিক খরচ অনেক দেওয়া লাগে কিন্তু ই-কমার্স কোনো প্রাতিষ্ঠানিক খরচ নেই।
ই-কমার্সের অসুবিধাঃ
ই-কমার্সের সুবিধার তুলনায় অসুবিধার সংখ্যা খুবই কম। তবুও কিছু অসুবিধা রয়েছে।
- ই-কমার্সে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন।
- আধুনিক ডিভাইসের পরিপূর্ণ ব্যবহার জানতে হবে।
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম এর খরচ বেশি।
ই-কমার্সের জন্য যা যা প্রয়োজনঃ
ই-কমার্স এর জন্য মূলত বিশেষ জ্ঞান ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। যন্ত্রপাতি বলতে আধুনিক ডিভাইস এবং জ্ঞান বলতে আধুনিক ডিভাইসের ব্যবহার বোঝানো হয়েছে। আধুনিক ডিভাইস যেমনঃ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি। এখন এ সকল ডিভাইস কি পরিমাণে লাগবে তা ব্যাবসার পরিধির উপর নির্ভর করে। বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা যেমনঃ পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড বানানো, এক্সেলের কাজ, গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব সাইট ডিজাইন ইত্যাদি জানতে হবে।
ই-কমার্স এর পরিধি বিস্তার করার জন্য আপনাকে প্রচারণা চালাতে হবে। আরে প্রচারণা চালানোর জন্য পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড এর গুরুত্ব অনেক। পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড বানিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে হয়।
যেকোনো ধরনের ডিজাইন অথবা লোগো তৈরি করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই কি কমার্সের জন্য গ্রাফিক ডিজাইনে জানতে হবে।
আরে সবচেয়ে আগে যে জিনিসটা জানতে হবে সেটা হচ্ছে এক্সেলের কাজ। পুরো কমার্সের হিসাব-নিকাশের কাজ এক্সেলের মাধ্যমে করা যায় এবং তথ্যগুলো সংরক্ষণও করা যায়।
প্রতিটি ই-কমার্সের জন্য একটি ওয়েবসাইট দরকার যেখানে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পণ্য অর্ডার কিংবা সেবা অর্ডার করতে পারে। আর একটি একটি ফেসবুক পেজ দরকার। ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন জানা অত্যন্ত জরুরী । তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন নিয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন-
যেভাবে একটি ই-কমার্স সাইট বানাবেনঃ
একটি সাইট দুইভাবে বানানো যায় একটি ওয়াডপ্রেস আর অন্যটি ব্লগার দিয়ে। ব্লগার দিয়ে শুধুমাত্র ব্লগিং সাইট তৈরি করা যায়। তবে কোডিং জানা থাকলে ব্লগার দিয়ে যেকোনো ধরনের সাইট বানাতে পারবেন। তবে সাইট বানানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো ধরনের সাইট বানানো সম্ভব। এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি হোস্টিং কিনতে হবে এবং টপ লেভেল ডোমেইন কিনতে হবে। তারপর একটি থিম ইন্সটল করতে হবে। তিনটি প্রেমিয়াম ভার্সন হলে ভালো হয়। পরে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে হবে এবং প্রয়োজনে প্লাগিন ইউজ করতে হবে।
ব্লগটি ভালো লাগলে কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন, ধন্যাবাদ।